ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘অসংগত’ : ১৪ দল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জয়ের পর মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি জোটের ১৪ দলের কোনো প্রতিনিধিকে। এতে মনোক্ষুণ্ন হলেও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েছিলেন ১৪ দলের নেতারা।

এর মাঝে মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জোট করেছি। জোট করার অর্থ এই নয় যে, আমরা শর্ত দিয়েছি যে, মন্ত্রী করতেই হবে। ১৪ দল আমাদের দুঃসময়ের শরিক। তারা অতীতে ছিলেন, ভবিষ্যতে থাকবেন না সে কথা তো আমরা বলতে পারছি না।

জোটের নেতৃত্ব দেওয়া দলের সাধারণ সম্পাদকে এমন বক্তব্যে কিভাবে নিচ্ছে শরিকরা?

জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সদ্য সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, মন্ত্রিসভা মাছের ভাগ দেওয়ার মতো নয়। মন্ত্রিসভার কাজ হচ্ছে দেশ পরিচালনা করা। যখন আমরা এক সঙ্গে চলা শুরু করেছিলাম, তখন কথা ছিলো একসঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন, একসঙ্গে সরকার। এখন আমরা নেই, কিছু বলতে চাই না।

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্য সঙ্গত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, তার বক্তব্য সঙ্গত নয়। এই যদি দৃষ্টিভঙ্গি হয় তাহলে সেটা আমরা বিবেচনার মধ্যে রাখবো। কোনো শর্তদিয়ে মন্ত্রিত্ব পাবো এ কথা আমি কখনই বলিনি।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় আমাদের সকলেই প্রত্যাশা করেছিলাম সরকারে ১৪ দল থাকবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এটাকে আমরা ভিন্নভাবে না দেখে রাজনৈতিকভাবেই দেখতে চাই। ১৪ দলের প্রতিনিধিরা যদি এ মন্ত্রিসভায় থাকতো এ সরকার পরিপূর্ণতা লাভ করতো।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলছেন, একসঙ্গে সরকার গঠনের যখন সিদ্ধান্ত হয় তার মনে এ মন্ত্রিপরিষদেও জোট থেকেও সদস্য থাকবে। এটা শর্তের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হলো উপলব্ধির। সুত্র: চ্যানেলআই অনলাইন